ব্লগিং কিভাবে শুরু করবো?How to start blogging.
Hello friends. এই ব্লগে আমি
ব্লগিং কিভাবে শুরু করবো
(how to start blogging) এই প্রশ্নের সবচেয়ে সহজ উপায় বলব। আমি এই ব্লগে ধারাবাহিকভাবে ব্লগিং করার একটা কাঠামো সম্পর্কে ধারণা দেবো। ব্লগিং শুরু করার জন্য আগে থেকে একটা প্লান থাকা উচিৎ। কিন্ত যারা একবারে ব্লগিং জগতের শুরুতে আছে তারা হয়তোবা প্লান করতে পারে না বা অক্ষম।কারণ ব্লগিং সম্পর্কে তাদের ধারণা তুলনামূলক ভাবে কম।
plan: ব্লগিং কিভাবে শুরু করবো
( how to start blogging)
১) ব্লগার একাউন্ট খোলা।
২) থিম আপলোড করা।
৩) কন্টেন্ট তৈরি করা।
৪) থিম কাস্টমাইজ করা।
৫) প্রয়োজনীয় SEO করা।
৬) ডোমেইন
৭) এডসেন্স এপ্লাই করা।
৮) সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা।
৯) খরচ
১) ব্লগার একাউন্ট খোলাঃ
ব্লগিং করার একেবারের শুরুর ধাপহলো Blogger.com এ একটা
একাউন্ট খোলা। তবে ব্লগার একাউন্ট
খোলার আগে কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে
সতর্ক থাকতে হবে। সেগুলো হলো
i) নিজের সাইটের নাম অবশ্যই ইংলিশ
এ দিতে হবে।
ii) নামটা সুন্দর এবং ছোট হতে হবে
যেন য কেউ আপনার সাইটের নাম
মনে রাখতে পারে এবং স্থায়ী visitor হতে পারে।
২) থিম আপলোড করাঃ
ব্লগারে থিম upload করা একটিimportant বিষয়। ব্লগারের নিজস্ব
কিছু থিম বা টেমপ্লেট রয়েছে।এগুলো
ব্যবহার করলে SEO. ভালো পাওয়া
যায়। তবে আপনি যদি সুন্দর এবং
প্রফেশনাল ব্লগার হতে চান তাহলে
আপনাকে custom theme upload
করতে হবে। এগুলো সাধারণত free.
তবে ভালো হয় যদি আপনি টাকা
দিয়ে premium theme ব্যবহার
করলে। ভালো কয়েকটি থিমের নাম
হলো seo pro,need mag, G news
,Sora seo, Sora seo 2 ইত্যাদি।
এগুলোর Premium version ও পাবেন।
৩) কন্টেন্ট তৈরি করাঃ
কন্টেন্ট তৈরী করার জন্য আপনাকে৫০০-১০০০ শব্দের মধ্যে লিখতে হবে।
নাহলে এডসেন্সের low quality content issue দেখিয়ে reject
করতে পারে।কন্টেন্টে ছবি এড করতে
হবে এবং সেইসব কন্টেন্টই দিতে
হবে যেগুলো গুগলে চাহিদা রয়েছে।
এডসেন্স এপ্লাই করতে সর্বনিম্ন
৮টি কন্টেন্ট থাকতে হবে।
যেসব বিষয়ের উপর কন্টেন্ট তৈরি
করবেন তাকে নিশ( niche) বলা
হয়।
বাংলায় ব্লগিং এর জন্য কিছু
জনপ্রিয় নিশঃ
i) স্বাস্থ্য।
ii) টেক
iii) নিউজ
iv) শিক্ষামূলক
v) গল্প ও কবিতা
vi) বুক রিভিউ
vii) ই-কমার্স
ইত্যাদি
৪) থিম কাস্টমাইজ করাঃ
থিম সঠিকভাবে কাস্টমাইজ করতেপারলে একটা প্রফেশনাল লুক
আসবে সাইটে। তাই থিম কাস্টমাযে
অবহেলা করা যাবে নাহ।থিম কাস্টমাইজ করা ঠিক করে না করলে
এডসেন্স এর উপর প্রভাব পড়ে।
৫) প্রয়োজনীয় SEO করাঃ
যারা ব্লগিং করে তাদের সবারইTarget থাকে ভালো পরিমাণে
visitor আসবে এবং ক্লিক বেশি
পড়বে।আর এই স্বপ্ন সত্যি করার
জন্য আপনাকে অবশ্যই প্রয়োজনীয় SEO করতে হবে।Seo এর full
meaning হলো Search engine
optimization. SEO দুই প্রকার।SEO একটি
বড় বিষয়। এটি একটি অভিজ্ঞতার
বিষয় যা আস্তে আস্তে শিখতে হয়।
৬) ডোমেইনঃ
ডোমেইন হলো আপনার সাইটেরনাম এবং পরিচয়।বিভিন্ন ধরনের
ডোমেইন আছে যেমন. com,
.in,.info,.net,.xyz ইত্যাদি।
তবে ব্লগারে সাব ডোমেইন ইউস
করা যায় যা ফ্রি।তবে মাস্টার ডোমেইন ইউস করাই ভালো।মাস্টার ডোমেইনের মধ্যে সবচেয়ে
ভালো হলো. com এবং
এটিই সবচেয়ে দামি আবার
সবচেয়ে কম দামি
হলো. zyx domain.
যেখান থেকে ডোমেইন কিনবেন-
i) Namecheap.com
ii) Hostinger.com
বাংলাদেশি হলে
exonhost.com
freenom.com থেকে কেউ
ডোমেইন নিবেন না। যদিও এটি ফ্রি কিন্তু এডসেন্স পাওয়া
যায় না।
৭)এডসেন্স এপ্লাই করা:
সবাই ব্লগিং করে তাদের সবারইউদ্দেশ্য থাকে য তারা ব্লগিং
করে টাকা উপার্জন করবে।কিন্তু
এডসেন্স পাওয়া এতটা সহজ
না।এডসেন্স এপ্রুভাল পাওয়ার
জন্য ৮-২০ টা পোস্ট করতে হয়।
সাইটে প্রফেশনাল লুক থাকতে
হয়।On page Seo and Off
page seo দুইটাই থাকা ভালো
এডসেন্স এপ্রুভালের জন্য।
৮) সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা:
এডসেন পাওয়া একজন begginnerএর জন্য অনেক বড় সাফল্য।
কিন্তু বেশিরভাগ ব্লগারদের সাফল্য
বেশিদিন স্থায়ী হয় না।কারণ এডসেন্স
পাওয়ার পর যদি বেশিদিন visitor
না আসে তাহলে ads limit হয়ে যায়।
আর ads limit বেশি দিন থাকলে
adsense dissable হয়ে যায়।তাই
সাবধান থাকতে হবে।সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।
এছাড়া ব্লগিং করতে বেশি কিছু লাগে
না।একটা স্মার্ট ফোন,ল্যাপটপ
অথবা কম্পিউটার হলেই চলে।
ভালো মানের ইন্টারনেট কানেকশন
থাকতে হবে। একটা আলাদা জি
মেইল একাউন্ট খুলে সেই একাউন্টে
ব্লগিং এর সকল কার্যক্রম চালালে
ভালো হয়।একটা প্রফেশনাল
ওয়েবসাইট বানাতে ওয়ার্ডপেস
ব্যবহার করা হয়।কিন্ত যারা
প্রাথমিক তাদের ব্লগিং থেকে
শুরু করাই ভালো।ব্লগিং
এর অনেক কিছুই wordpress
এর সাথে related. ec
৯) খরচঃ
ব্লগিং করতে তেমন কোনো খরচ হয়না।আপনি চাইলে পূরোপূরি ফ্রিতে
সাইট বানাতে পারেন।তবে একটু
খরচ করলে ভালো হয়।যেমন
একটা ডোমেইন কিনতে পারেন,
প্রিমিয়াম থিম কিনতে পারেন।
এতটুকুই।কিন্ত ওয়ার্ডপ্রেসে
খরচ করতেই হবে।