বাংলা নববর্ষ
বাংলা বর্ষের প্রথম দিন বাঙালিরা উৎযাপন করে তাদের ঐতিহাসিক সার্বজনীন উৎসব বাংলা নব বর্ষ। বাংলা বর্ষের প্রথম মাস বৈশাখ। আর বৈশাখ মাসের পয়লা বৈশাখে উৎযাপিত হয়ে আসছে বাংলা নব বর্ষ। এই উৎসবে জাতি ধর্ম বর্ণ কোনো ভেদাভেদ থাকে নাহ। তাই পহেলা বৈশাখ সার্বজনীন উৎসব।
এই ব্লগে বাংলা নব বর্ষের ইতিহাস এবং বাংলা নব বর্ষের উৎসব নিয়ে বিস্তার আলোচনা করা হবে।
বাংলা নব বর্ষের ইতিহাসঃ
পহেলা বৈশাখের তেমন কোনো ইতিহাস ইতিহাসবিদরা লেখে জাননি। তাই সকল বই বা ব্লগে বলা হয় বাংলা নব বর্ষের ইতিহাস হাজার হাজার বছরের। তবে কিছু কিছু লোক বা পণ্ডিত থেকে জানা যায় সম্রাট আকবরের সময় তার কোনো এক প্রতিনিধি বাংলা সন চালু করে আর তারপর থেকেই বাংলা নব বর্ষের উৎসব চালু হয়।
বাংলা নব বর্ষের উৎসবঃ
বাংলা নব বর্ষের উৎসবকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়ঃ
১) পুন্যাহ
২) হাল খাতা
৩) বৈশাখী মেলা
এছাড়াও অঞ্চল ভেদে বাংলা নব বর্ষের বিভিন্ন উৎসব বিভিন্ন ভাবে পালিত হয়ে থাকে।
পুন্যাহঃ
পুন্যাহ হলো বাংলা বাংলা বর্ষের বৈশাখ মাসের প্রথম দিন ব্রিটিশ আমল থেকে পুন্যাহ পালিত হয়ে আসছে।
এই উৎসবে বাংলার জমিদাররা এবং বাংলার সম্রাটরা তাদের প্রজাদের মহলে আমন্ত্রণ করতেন এবং তাদের থেকে বকেয়া খাজনা পাওয়ার উদ্দেশ্যও সাধন করতেন। আর এই দিনে নৌকা বাইচ, পুতুল খেলা ইত্যাদি খেলাও হতো। ১৯৫০ সালে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রথার পর থেকে এই উৎসব বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
হাল খাতাঃ
হাল খাতা উৎসব পালিত হয় ব্যবসায়ীদের মাঝে। তাদের কাছে যারা ধার পরিশোধ করবে তাদের কাছে একটি আমন্ত্রণ পত্র সুন্দর করে পাঠিয়ে দেন। সেখানে তারা তাদের মিষ্টি মুখ করান এবং ধার পরিশোধ করিয়ে নতুন হাল খাতা খাতা খোলা হয়।
হাল খাতার প্রচলন এখনো কিছু কিছু জায়গায় বা অঞ্চলে আছে।
পহেলা বৈশাখঃ
পহেলা বৈশাখ অনেক পুরোনো উৎসব হলেও এই উৎসব আজও ধুম ধাম করে পালিত হচ্ছে। এই উৎসব উপলক্ষ্যে বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থানে মেলা বসে।
এছাড়াও বিভিন্ন উৎসব তাদের অঞ্চল ভেদে হয়ে থেকে। যেমমঃ বলী খেলা, আমানি।
ব্লগটি ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন।