ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing)

ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing)


ফ্রিল্যান্সিং কি? (What is Freelancing) :

ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং  হলো  এক
ধরনের অনলাইনভিত্তিক পেশা। ফ্রিল্যান্সিং            হলো মুক্ত পেশা অর্থাৎ মুক্তভাবে আয় করার 
পেশা।ধরনের পেশার সামগ্রিক কাজ-কর্ম 
অনলাইন বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা হয়। 
বর্তমান ফ্রিল্যান্সিং এর ব্যাপক জনপ্রিয়তা
রয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং এ মূলত ভিন্ন ভিন্ন দেশের
ভিন্ন ভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের বিভিন্ন কাজ যেমনঃ
ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট,ওয়েবসাইটে তথ্য
যোগ করা, ভয়েস ট্যালেন্ট,কন্টেন্ট রাইটিং,
বেতন-ভাতার বিল প্রস্তুত-করণ,গ্রাফিক্স 
ডিজাইন ইত্যাদি। 




ফ্রিল্যান্সিং

 
পেশা হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং এর জনপ্রিয়তার  কারণঃ

আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে বড়
সুবিধা হলো এ পেশা সব কাজ ঘরে বসে করা
যায়। কাজ বা সেবা প্রদান থেকে শুরু করে কাজের
বিনিময়ে অর্থ গ্রহণ,সব কাজই অনলাইনে ঘরে
বসে করা যায়। জনপ্রিয় পেশা হিসেবে পরিচিতি
পাওয়ার আরেকটি কারণ হলো এ পেশার প্রায়
সব কাজের মূল্য অনেক। অর্থাৎ যেকোনো
কাজের বিনিময়ে ন্যায্য মূল্য পাওয়া যায়।তবে
এ কাজ করার জন্য অনেক দক্ষতার প্রয়োজন
আছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশ এ শিল্পে বেশ এগিয়ে
আছে বাংলাদেশের তুলনায়। পেশা হিসেবে
ফ্রিল্যান্সিং এর অমিত সম্ভাবনা লক্ষ্য করা যায়।
প্রতি বছর একটি দেশে ফ্রিল্যান্সিং করে বিলিয়ন
বিলিয়ন ডলার আয় করছে। তাই ফ্রিল্যান্সিং এখন
বর্তমানে একটি স্মার্ট জব হিসেবে বিবেচিত।
ফ্রিল্যান্সিং শিল্পে বাজারে শীর্ষ স্থানে রয়েছে আমাদের
পার্শবর্তী দেশ ভারতের হাতে। 

এতগুলো কারনেই পেশা হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং
এত জনপ্রিয়।

ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং এর জন্য যে যে দক্ষতা লাগবেঃ

ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য বেশ কিছু দক্ষতার 
প্রয়োজন  আছে,তা নিম্নে উল্লেখ করা
হলোঃ


  • গ্রাফিক্স ডিজাইন জানা লাগবে।
  • এনিমেশন বা কার্টুন তৈরির দক্ষতা থাকা।
  • ভয়েস ট্যালেন্ট
  • কন্টেন্ট রাইটিং এর দক্ষতা 
  • এক্সেল এর দক্ষতা 
  • পাওয়ার পয়েন্ট এর দক্ষতা 
  • Seo expart এর দক্ষতা 
  • ওয়ার্ডডপ্রেরে ডেভেলপমেন্ট এর দক্ষতা
  • ওয়েবসাইটে তথ্য যোগ করা
  • কোডিং  এর দক্ষতা 
  • ডিজিটাল মার্কেটিং এর দক্ষতা 
এগুলোর যেকোনো একটি বা একাধিক দক্ষতা 
থাকলে ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং করা সম্ভব।


বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং সাইটের নামঃ

 ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কয়েকটি জনপ্রিয়
সাইটের নাম উল্লেখ করা হলোঃ

  1. Fiverr: Fiverr বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় সাইট। এ সাইট ব্যবহার করাা সহজ বিধায় যার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে একাবারে নতুন তাদের জন্য এটি অনেক সুবিধাজনক।এখান থেকে অনেক ধরনের কাজ করা যায়, যেমনঃ কন্টেন্ট রাইটিং,লোগো ডিজাইন,ওয়ার্ডপ্রেস সাইট ডেভেলপমেন্ট, ভয়েস ট্যালেন্ট,ভিডিও এডিটিং,seo expart, গ্রাফিক্স ডিজাইন,তথ্য যোগ ইত্যাদি কাজ। Fiverr site এর লিংকঃ 
  2. এছাড়াও বিভিন্ন সাইট আছে যেমনঃ https://www.guru.com/    ,  https://www.freelancer.com/, এসব সাইট প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য। এখানে লক্ষ্য,লক্ষ্য ফ্রিল্যান্সিং করা ফ্রিল্যান্সাররা।

ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করার উপায়ঃ

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য যেমন অনেক ওয়েব
সাইট আছে তেমনি ফ্রিল্যান্সিং শেখা বা কোর্স
করার জন্যও অনেক ওয়েব সাইট বা এপস আছে
আবার অনেক ইউটিউব চ্যানেল ও আছে।আপনারা
চাইলে এখান থেকেও শিখতে পারেন।

এপসঃ 

ফ্রিল্যান্সিং শেখার সবচেয়ে ভালো এপস
হলো রবি টেন মিনিট স্কুল এপ।এখানে প্রায়।  ফ্রিল্যান্সিং সব ধরনের কোর্সই আছে যেমনঃ        ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন,এক্সেল,পাওয়ার পয়েন্ট ইত্যাদি যা প্রতিটি কোর্স মাত্র ৪৫০ টাকা।           এই এপ Google play store এ পাওয়া যায়।


ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য শুরুতে আপনি ফ্রিল্যান্সিং সাইটে একটা প্রোফাইল বা আইডি তৈরি করুন।এরপ্র তারা যা যা করতে বলবে তা তা করুন।এরপর আপনি কাজ করা শুরু করে দিন।


ফ্রিল্যান্সিং এর দুনিয়াতে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের অগ্রগতি লক্ষ্যণীয়।বর্তমানে তৃতীয় বিশ্বের মানুষও এ শিল্পে এগিয়ে যাচ্ছে। এ কাজের জন্য শুধুমাত্র একটা কম্পিউটার বা ল্যাপটপ এবং ইন্টারনেট বা ওয়াইফাই সংযোগ থাকলেই যথেষ্ট।এ পেশায় সাধারণত বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠান অন্য কোনো দেশের লোকদের দিয়ে কাজ করায় বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে।যেকোনো চাকরি থেকে এ পেশায় বেশি আয় করা যায়।এ পেশায় শুধু দক্ষতার প্রয়োজন।


 ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করুন এবং কোনো ভুল থাকলে তা বলে দিবেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post