ভিটামিন (Vitamin)

 ভিটামিন (Vitamin)

ভিটামিন কি? (What is vitamin?):

ভিটামিন হলো জৈবিক অণু যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্ব পূর্ণ। 

আজকে এই ব্লগে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, ভিটামিনের উৎস, ভিটামিনের গুরুত্ব এবং উক্ত ভিটামিনের অভাব জনিত রোগ সম্পর্কিত আলোচনা করা হবে।

ভিটামিন এ (Vitamin A):

ভিটামিন এ অত্যন্ত গুরুত্ব পূর্ণ একটি ভিটামিন। এই ধরনের ভিটামিন এর ভালো উৎস হলো মাছের তেল,পাণিজ স্নেহ,লাল শাক,পুঁই শাক,পালং শাক,গাজর,বীট,মিষ্টি কুমড়া,পেপে,বাধা কপি,খেজুর,কড মাছ,স্যালমন মাছ ইত্যাদি।


ভিটামিন এ আমাদের রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে এবং দৃষ্টি শক্তি স্বাভাবিক রাখে। ত্বক সুস্থ রাখে,খাদ্য পরিপাক করে। এমনকি ভিটামিন এ ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে। এর অভাবে জেরপথালমিয়া, হাড় ক্ষয় প্রতিরোধ করে।


vitamin

 ভিটামিন বি (Vitamin B):

ভিটামিন বি১,বি২,বি৬,বি১২ মানুষের শরীরে বিভিন্ন গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেমমঃ শর্করা বিপাক,শক্তি উৎপাদন ইত্যাদি।

ভিটামিন সি (Vitamin C): 

ভিটামিন সি বিভিন্ন টক জাতীয় ফল যেমন আমলকি,লেবু,আমড়া,কামরাঙা ইত্যাদি ফলে এবং সবুজ শাক সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। ভিটামিন সি আমাদের ত্বক ও দাঁত ভালো রাখে। এছাড়া ভিটামিন সি এর অভাবে স্কার্ভি
রোগ হয়  এবং হাড় ভঙ্গুর হত। স্কার্ভি রোগে দাঁতের মাড়ি ফুলে যায় ও দাঁত আলগা হয়ে যায় এবং ঘাঁ হয়। ভিটামিন সি বিভিন্ন সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করে।

ভিটামিন ডি (Vitamin D) :

তেল,ডিম ও দুগ্ধ জাতীয় খাদ্যে প্রচুর ভিটামিন ডি থাকে। ভিটামিন ডি আমাদের অস্থি ও দাঁতের কাঠামো ঠিক রাখে। অন্ত্রে ক্যালসিয়াম শোষণ বাড়ায়। ভিটামিন ডি এর অভাবে হিমোগ্লোবিনে বিগ্ন ঘটে। এছাড়াও ভিটামিন ডি এর অভাবে রিকেটস রোগ হয়ে। রিকেটস রোগ হলে হাড় বেকে যায়।

ভিটামিন ই (Vitamin E) এবং ভিটামিন কে (Vitamin K):

ভোজ্য তেল,শস্য দানা,যকৃৎ,মাছ মাংসের চর্বিতে ইত্যাদি খাদ্যে প্রচুর ভিটামিন ই রয়েছ। শাক-সবজি লেটুস পাতা, ডিমের কুসুম ইত্যাদিতে ভিটামিন কে রয়েছে।ভিটামিন কে প্রথ্রোবিন নামক প্রোটিন গঠন করে যা রক্ত জমাট বাধতে সাহায্য করে।


ভিটামিন জনিত রোগ প্রতিরোধে সতর্ক থাকতে হবে এবং ভিটামিন জনিত খাদ্য খেতে হবে এবং ভিটামিন জনিত রোগ প্রতিকারে ডাক্তার এর পরামর্শ অবশ্যই নিতে হবে।


ব্লগটি ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন এবং সাথে থাকবেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post