লবণের আয়োডিন

লবণের আয়োডিন


লবণ কিঃ

লবণের রাসায়নিক সংজ্ঞা হলো অম্লের H পরমাণু ধাতু অথবা ধাতুর ন্যায় ক্রিয়াশীল যৌগ মুলক এর দ্বারা আংশিক ভাবে অথবা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিস্থাপিত হয়ে যে যৌগ তৈরি করে তাদেরকে লবণ বলে।




 আয়োডিন কিঃ

আয়োডিন হলো এক ধরনের রাসায়নিক মৌল যার রাসায়নিক সংকেত হলো I। এই রাসায়নিক মৌল টির পারমাণবিক সংখ্যা হলো ৫৩। বিজ্ঞানী বার্নার্ড এই আয়োডিন মৌলটি আবিষ্কার করেন। এই মৌলটি সমদ্রের পানিতে আয়নিত থাকে। এই মৌলটি মানব দেহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্ব পূর্ণ। আয়োডিনের অভাবে পৃথিবীতে  প্রায় দুই কোটি লোক এর উপর প্রভাব পড়ে এবং প্রতিবন্ধী ও বিকলঙ্গ হয়ে পড়ে। আমাদের প্রতি দিন ১৫০ মাইক্রো গ্রাম আয়োডিনের পায়োজন।

 আয়োডিনের অভাব জনিত রোগঃ

আয়োডিনের অভাবে গলগণ্ড রোগ হয়। আমাদের দেশের উত্তর অঞ্চলে গলগণ্ড রোগ হয়। কিন্তু গলগণ্ড রোগ দক্ষিণ অঞ্চলে হয় না
 কারণ  দক্ষিণ অঞ্চলে বঙ্গোপ সাগর অবস্থিত। আর সাগরের পানিতে আয়োডিন আয়নিত থাকে। আর দক্ষিণ অঞ্চল এর মানুষ সামুদ্রিক মাছ থেকে আয়োডিন পায়।

গলগণ্ড রোগের লক্ষণ

গলগণ্ড রোগ হলে থাইরয়েড গ্রন্থি ফুলে যায়। এতে শ্বাস প্রশ্বাস নেওয়ার সময় শব্দ হয়। খাবার গলধ করণ করতে কষ্ট হয় এবং ব্যাথা হয়। অনেক সময় দূর্বল বোধ হয়। গলগণ্ড রোগ হলে আয়োডিন যুক্ত লবণ,  সামুদ্রিক মাছ খেতে হবে এবং  প্রয়োজনে ডাক্তার এর পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। বেশি করে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।গলগণ্ড রোগকে স্থানীয় ভাষায় ঘ্যাগ রোগ বলে।


যেসব এলাকার মাটিতে আয়োডিন রয়েছে সেখান হতে উৎপাদিত সবজিতেও আয়োডিন পাওয়া যায়। সামুদ্রিক প্রাণি থেকেও আয়োডিন পাওয়া যায়।আমরা অনেক সময় জানি না যে কোন খাবারে কোন পুষ্টি গুণ রয়েছে। তাই আমরা পায়ই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ি। এই পুষ্টি গুণ এবং ভিটামিন নিয়ে আমার দুটো ব্লগ পাব্লিশ করা আছে। আপনারা চাইলে সেখান থেকে ব্লগ দুটি পড়তে পারেন। এই সকল রোগ প্রতিরোধে সামাজিক উদ্দ্যেগ গ্রহণ করতে হবে।  এটি অত্যন্ত কার্যকারী উপায়। আর এই সকল রোগ প্রতিকারের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে। 

ব্লগটি ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন এবং আমাদের পাশে থাকবেন। ধন্যবাদ।

Post a Comment

Previous Post Next Post